বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখতে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোর নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক হবে দ্বন্দ্বের। ভালো কাজের প্রশংসা করা হবে, মন্দ কাজের সমালোচনায় থাকবে সরব।
জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার, তাই উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই তাদের বক্তব্য নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক হবে দ্বন্দ্বের। ভালো কাজের প্রশংসা করা হবে, মন্দ কাজের সমালোচনায় থাকবে সরব।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্লাটফর্মটির বাংলামোটর কার্যালয়ে চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, আসন্ন কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।
বৈঠক শেষে হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, আমাদের আজকের সভায় ১৫৮ জনের মধ্যে ৭০-৮০ জন সমন্বয়ক ছিলেন। তবে অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। নিজেদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলাও নেই আমাদের, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই আমাদের বক্তব্য নিতে হবে।
সমন্বয়কদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু সরকারের গুণগান গাইব না। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনাও করা হবে। এ ছাড়া মানুষের ভোগান্তি হয় এমন কোনো কিছু করবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তিনি জানান, বিপ্লবের ১০০ দিন উপলক্ষে আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের কমিটি দেওয়া হবে।